বাধাই WWW ,,,,,ত্রিশ বছর অতিক্রান্ত,,,,কেমন ছিল বিশ্বের প্রথম ইন্টারনেট আর ওয়েব পেজ! ইন্টারনেটে ঢুকলেই আপনার প্রয়োজন হয় যে তিনটি অক্ষর সেগুলো হচ্ছে ‘থ্রি ডব্লিউ’ অর্থাৎ WWW…। তিন দশক আগে সেটিতে কোনো রং ছিল না, ছবি ছিল না, ছিল না ভিডিও।
এমনকি কোনো একটা গ্রাফিক্সও ছিল না সেই পেজে। ওই পেজে যা ছিল তার সবই মূলত ছিল টেক্সট। সেই জায়গা থেকে শুরু করে আজ ওয়েব এগিয়েছে বহুদূর। কিন্তু প্রথমবার যখন চালু হল, এই ওয়েব পেজটা আসলে কেমন ছিল? ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর জন্ম হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ১২ই মার্চ ইউরোপিয়ান ওর্গানাইজেশান ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ (CERN) প্রতিষ্ঠানে।
এটির প্রধান কার্যালয় ছিল সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে। তখন CERN ছিল অসংখ্য বিজ্ঞানীর একটি কমিউনিটি। তাই শতাধিক দেশের প্রায় ১০ হাজার বিজ্ঞানীর এক বিরাট পরিমণ্ডলের মধ্যে যেকোনো উপায়ে একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা দরকার ছিল।
প্রথম ওয়েব পেজের স্রষ্টা ছিলেন টিম বার্নার্স-লি। তিনি মূলত ছিলেন একজন ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়ার ও ফিজিসিস্ট। সে সময় সহজে ও নিরাপদে ডাটা আদান-প্রদানের জন্য ইনফরমেশান ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-এর জন্য লি প্রস্তাব করেছিলেন।
সেই প্রস্তাবটিকে বার্নার্স লি’র উর্ধতন কর্মকর্তা ‘অস্পষ্ট, তবে ইন্টারেস্টিং’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বর্ধিত ও সমৃদ্ধ হতে হতে সেই ওয়েবই এখন একটি বিরাট প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ৩০ বছর আগে বার্নার্স-লি নিজের কম্পিউটারে তার নিজের আবিষ্কার নেক্সট কম্পিউটার বিষয়ে কাজ করছিলেন। নিজের সেই কাজকে হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল (HTTP) হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তিনি।
অতি সামান্য এক আইডিয়া থেকে তিনি শুরু করেছিলেন— ইনফরমেশান ম্যানেজমেন্ট: এ প্রোপোজাল। ১৯৮৯ সালের এক বছর পর, ১৯৯০ এর ডিসেম্বরের ২০ তারিখে CERN এটিকে নিজেদের অভ্যন্তরীন কাজে ব্যবহার শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে অাগস্ট মাসে সেটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য।
১৯৯৩ সালের ৩০ এপ্রিলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সফটওয়্যারকে CERN পাবলিক ডোমেইনে রেখে দেয় এবং সেটিকে সহজে বিস্তৃত পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি ওপেন লাইসেন্স নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এ ঘটনার পর যা ঘটেছে, সেটা ইতিহাস।
সেই সময়ে উইন্ডোজ বা গুগল ক্রোম ছিল না। এমনকি ব্যক্তিগত কম্পিউটারও খুঁজে পাওয়া বিরল ব্যাপারই ছিল। আর এই ইন্ডাস্ট্রি বা প্রযুক্তির বাণিজ্যিক পসারের দিকটা ছিল বেশ জটিল আর কম আকর্ষণীয়। ইন্টারনেট তখন ছিল ই-মেল চালাচালির বিষয়মাত্র। তখন ইন্টারনেট সার্ফ করার লাইনটা কানেক্ট হতো অ্যানালগ টেলিফোন লাইন মারফত। ফলে লাইন পাওয়া ছিল বিরাট ধৈর্যের পরীক্ষা।
বর্তমান জমানায় আমরা ব্যবহার করছি থ্রি-জি ও ফোর-জি। কিন্তু এরপরও সংযোগে এক সেকেন্ড দেরী হলে আমরা অস্থির হয়ে উঠি। প্রযুক্তির দুনিয়াটা ভীষণ দ্রুতলয়ে পাল্টেছে। এতো দ্রুত এর পরিবর্তন ঘটেছে যে, আমরা ভুলেই গেছি অতীতে তা কত ধীরলয়ের ছিল। ১৯৮৯ সালে সেই অরিজিনাল পেজটাতে কোনো অ্যাড্রেস বার ছিল না। কোনো ছবি বা কোনো প্রকারের কোনো শব্দ-ও ছিল না।
কিন্তু সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত তা অনেক বদলে গেছে : হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বা HTML-এর দ্রুত বিস্তার ঘটেছে। হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল বা HTTP-এর এতো বদল ঘটেছে যে এর প্রথম সংস্করণের সাথে বর্তমানের সংস্করণের কোনো মিলই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সার্চ ইঞ্জিন আর ওয়েব ব্রাউজারগুলোও ক্রমাগত পরিমার্জন ও আধুনিকায়নের ভিতর দিয়ে গেছে।
পরবর্তীতে ১৯৯৪ সালে বর্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কনসোর্টিয়াম বা ডাব্লিউথ্রিসি সৃষ্ট করেন। এটিই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব-এর প্রধান আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান। তথ্যসূত্রঃ- বিবিসি নিউজ বাংলা
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | ||||
4 | 5 | 6 | 7 | 8 | 9 | 10 |
11 | 12 | 13 | 14 | 15 | 16 | 17 |
18 | 19 | 20 | 21 | 22 | 23 | 24 |
25 | 26 | 27 | 28 | 29 | 30 | 31 |